হাটহাজারীর বিভিন স্থানে মহাসড়কের অংশ দখল কর ইট, কংকর, ইট ভাঙ্গা(খোয়া) ও বালু ব্যবসা করছে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা ।
উপজলার বেশ কয়কটি স্থানে মহাসড়কর পাশ জুড়ে বিক্রীর জন্য রাখা হয়েছে এসব বালু,কংকর, ইট ও ইটের খোয়া। এতে যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশংকা প্রকাশ করছেন স্থানীয় সচেতন জনসাধারন।
সরজমিনে পরিদর্শন গিয়ে দেখা গেছে, পৌরসভার এগারো মাইলের বনবিট পরীক্ষণ ফাঁড়ির দক্ষিণ পাশে, উপজেলার সুবেদার পুকুর পাড় এলাকায়, হাটহাজারী-খাগড়াছড়ি মহাসড়কের মাটিয়া মসজিদের পর বড়ুয়া পাড়ার সামনে, মুন্সি মসজিদের পূর্ব ও পশ্চিম পাশে, চারিয়া ইজতেমা মাঠের সামনে, চারিয়া মাদ্রাসা গেইটের সামনে, মির্জাপুর ইউনিয়নের মুহুরীহাট বাজারে, মনিয়া পুকুর পাড় বাজার সংলগ্ন এলাকায়, কাটিরহাটের চেয়ারম্যান ঘাটা,বালুরটাল নামক বিকম ফরিদের ঘাটার রাস্তার পাশ সহ বিভিন্ন স্থানে ব্যবসার জন্য রাখা আছে ইট-বালুর খােয়া। রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহনের কয়েকজন চালকের সাথে কথা হলে তারা জানান, একটু বাতাস হলেই রাস্তার পাশে থাকা বালু উড়ে এসে চালকদের চোঁখে পড়ে প্রায় সময় । ফলে চালক নিয়ন্ত্রন হারিয়ে পার্শ্ববর্তী খাদে পড়ে যাওয়া ও বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা/ঝুঁকি প্রচুর। এছাড়া যখন ট্রলিতে করে ওই বালু লােড-আনলোড করা হয় তখন রাস্তার অর্ধেক জুড়ে থাকে ট্রলির বডি। এ সময় যাত্রীবাহী বাস-ট্রাক আসলে রাস্তায় পর্যাপ্ত পরিমান জায়গা না থাকার ফলে যানজটরও সৃস্টি হয় ।
স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, এভাবে রাস্তার পাশ দখলে নিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীদের এমন কর্মকান্ড জনস্বার্থে যতদ্রুত সম্ভব বন্ধ করে দেয়া দরকার । কতিপয় অসাধূ লােক মহাসড়কের পাশের অংশসহ রাস্তার ধারের সরকারি সড়ক ও জনপদ বিভাগের জায়গা দখল করে অবৈধ ভাবে বছরের পর বছর এসব ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। সড়ক ও জনপদ বিভাগর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মাঝে-মধ্যে বিষয়টি দেখে গেলেও কােনো পদক্ষপ নিতে দেখা যায় না। সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার এবং প্রয়াজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবিও জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
সড়কের পাশ দখল করে এভাবে ব্যবসা করার অনুমতি বা নিয়ম আছে কিনা জানতে চাইলে সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী(সিভিল)আবু আহসান মুঃ আজিজুল মোস্তফা একুশে পত্রিকা কে জানান, সড়ক দখল করে মালামাল রেখে ব্যবসা করার অনুমতি দেয়ার কোনো সুযোগ নাই। এভাবে ব্যবসা করা সম্পূর্ন অবৈধ। গত মাসে আমরা ওই সমস্থ ব্যক্তিদের সড়ক থেকে ইট,বালি ও ইটের খোয়া সরিয়ে নিতে নোটিশ দিয়েছি।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো.শাহিদুল আলমের দৃস্টি আকর্ষন করা হলে তিনি একুশে পত্রিকা কে জানান, “সওজের এসডিই র সাথে কথা হয়েছে। শীঘ্রই এ ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।”