চট্টগ্রাম 2:24 am, Tuesday, 1 July 2025
১৫ দফা ইশতেহার ঘোষণা

আধুনিক বাসযোগ্য দোহার-নবাবগঞ্জ বিনির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিলেন সালমা ইসলাম

আধুনিক বাসযোগ্য দোহার-নবাবগঞ্জ গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১৫ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছেন ঢাকা-১ আসনের জাতীয় পার্টি মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী এবং সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম। পদ্মা নদীর ভাঙন রোধে বাঁধ মেরামত, বাসা-বাড়িতে গ্যাস সংযোগ, বেকার যুবকদের চাকরির ব্যবস্থা, বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, ইছামতি নদীর দুই পারে ওয়াকওয়ে নির্মাণ, পাকা রাস্তার দুই পাশে ড্রেনেজ নির্মাণ তার ইশতেহারে স্থান পেয়েছে। একইসঙ্গে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছেন তিনি।

শনিবার নবাবগঞ্জে নিজ নির্বাচনী অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ‘উন্নয়নের জন্য চাই পরিবর্তন, উন্নয়ন হবে দৃশ্যমান, লক্ষ্য কর্মসংস্থান’ স্লোগানে ইশতেহার ঘোষণা করেন তিনি। এ সময় স্থানীয় জাতীয় পার্টির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম বলেন, আমার ইশতেহারে আধুনিক বাসযোগ্য দোহার-নবাবগঞ্জ গড়ার স্বপ্ন রয়েছে। এ অঞ্চলের প্রধান সমস্যা নদী ভাঙন। তাই দোহার-নবাবগঞ্জকে উন্মত্ত পদ্মার করাল গ্রাস হতে রক্ষা করতে চলমান কাজের অসমাপ্ত অংশে বাঁধ মেরামতে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। পদ্মার পাড় জুড়ে ক্ষুদ্র শিল্পকারখানা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্যোগ নেয়া হবে। এছাড়া ৫ লাখ ভোটারের গণদাবি অনুযায়ী বাসাবাড়িতে গ্যাস সংযোগের বিষয়ে সরকারিভাবে বাস্তবায়ন ও প্রয়োজনীয় ভর্তুকির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, ইছামতি নদীকে সচল করে দুই পাড়ে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করে সাধারণ মানুষের জন্য দুষণমুক্ত প্রাকৃতিক ও মনোরম পরিবেশে জীবনযাপন নিশ্চিত করা হবে। নবাবগঞ্জকে পৌরসভায় রূপান্তরিত করে আধুনিক জীবনব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য পাকা রাস্তার দু’পাশে ড্রেনেজ ব্যবস্থা চালুসহ নাগরিক জীবনের সকল সমস্যা নিরসনের কার্যকর উদ্যোগ নেয়া হবে। একইসঙ্গে জবাবদিহিতা ও তদারকিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে দোহার-নবাবগঞ্জের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আধুনিক ও স্মার্ট মানে গড়ে তোলার পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষার উপর জোর দিয়ে শিক্ষার্থীদের কর্মমুখী করে গড়ে তোলা ও মাদ্রাসা শিক্ষার প্রসার ঘটিয়ে মানুষের নৈতিক মূল্যবোধ জাগ্রত করার সর্বোচ্চ প্রয়াস নিশ্চিত করা হবে।

স্বাস্থ্য-চিকিৎসা এবং উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থাও তার ইশতেহারে স্থান পেয়েছে। সালমা ইসলাম বলেন, দোহার-নবাবগঞ্জের ৪১৫টি গ্রামের মাটির রাস্তা পাকাকরণ, পাকা রাস্তাগুলো সংস্কার করে প্রশস্তকরণ, পর্যাপ্ত ড্রেনেজ লাইনের ব্যবস্থা এবং সড়ক সংযোগ মোড়ে আলোকবাতির ব্যবস্থা করা হবে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠির স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র সমূহ সচল করা ও স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম তদারকি করতে স্থানীয় সচেতন শিক্ষিত ও দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ দ্বারা কমিটি গঠন করে গ্রামের সাধারণ ও অসহায় মানুষের জন্য বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা হবে।

তিনি আরও বলেন, দোহারের পদ্মার মোহনা পুরুলিয়া হতে প্রবাহিত খালকে খননের মাধ্যমে দুইপাড় শাসন করে নবাবগঞ্জের ইছামতি নদীর সাথে সংযোগ ঘটিয়ে সারা বছর পানি প্রবাহ চলমান রেখে খালের পানি দ্বারা স্থানীয় কৃষকের সেচ প্রকল্প চালু রাখা হবে। নদীর পাশা গ্রাম ও কৃষিজমি জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এছাড়া মা ও শিশুর জীবন রক্ষায় দোহার-নবাবগঞ্জের ২৩ টি ইউনিয়ন ও দোহার পৌরসভায় অবহেলিত এলাকা সমূহে ‘মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার’ অসমাপ্ত কাজ বাস্তবায়নের কার্যকরী উদ্যোগ নেয়া হবে। প্রতিটা ইউনিয়নে সেলাই কেন্দ্র চালু করে নারীদের কর্মমুখী করে গড়ে তোলার জন্য সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তিগত সহায়তা অব্যাহত থাকবে।

কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে পরিকল্পনার কথা জানিয়ে ইশতেহারে সালমা ইসলাম বলেন, নতুন ভোটার, শিক্ষিত ও মেধাবী তরুণ-তরুণীদের জন্য সরকারি-বেসরকারি চাকরিতে অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি করা হবে। যোগ্যতার ভিত্তিতে তাদেরকে বিভিন্ন ব্যক্তি-কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানে নিয়োগে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হবে। বিপুল সংখ্যক হিন্দু-খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের আবাসস্থল দোহার-নবাবগঞ্জের শান্তি-সম্প্রীতির অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে শান্তি সন্নিবেশ বাস্তবায়নে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত দোহার-নবাবগঞ্জ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে সালমা ইসলাম বলেন, স্থানীয় প্রশাসন ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করে সামাজিক অবক্ষয় রোধে উঠতি বয়সি কিশোর ও যুবসমাজকে সামাজিক কাজ ও খেলাধুলায় উদ্বুদ্ধ করতে পর্যাপ্ত মাঠ ও যথাযথ পরিবেশ সৃষ্টির উদ্যোগ নেয়া হবে। নারী নির্যাতন, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ এবং নারীর কর্ম ও ক্ষমতায়নে তথা সর্বক্ষেত্রে নারী নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার সুযোগ সৃষ্টিতে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।

নবাবগঞ্জে ইছামতি নদীর নবাবগঞ্জ-যন্ত্রাইল ব্রীজ প্রশস্তকরণ ও কৈলাইলের শালিকা লঞ্চঘাটে প্রস্তাবিত ব্রীজ নির্মাণ ও শোল্লার কালিগঙ্গা নদীর উপর পাতিলঝাঁপ দত্তখন্ড প্রস্তাবিত ব্রীজের নির্মাণ বাস্তবায়নে জরুরী পদক্ষেপ নেয়া হবে। দোহার-নবাবগঞ্জে একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক তাঁতী জনগোষ্ঠির বসবাস। বিলুপ্তপ্রায় তাঁতশিল্পকে পুনরুদ্ধারে সরকারী-বেসরকারি উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে বেকার তাঁতীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনে ম্যান্ডেট পেলে অতীতের ন্যায় সর্বোচ্চ নিষ্ঠা, আন্তরিকতা, মানবিক হৃদয় নিয়ে জনগণের সেবায় সচেষ্ট থাকবো। একজন নারী হিসেবে দোহার-নবাবগঞ্জের উন্নয়নে অনেক কাজ করেছি। পাকা রাস্তাঘাট নির্মাণ, মসজিদ-মন্দির উন্নয়নে কাজ করেছি। সেইসব কাজে নারীরা আমার পাশে ছিল। ক্ষমতা নয়, মমতা দিয়ে মানুষের পাশে থাকতে চাই। তাই আমার স্লোগান হচ্ছে- ‘ক্ষমতা নয়, মমতা; লাঙ্গল আনবে সমতা।’ তিনি আরও বলেন, নির্বাচনী জয়ী হতে পারলে বিলুপ্তপ্রায় তাঁত শিল্প পুনরুদ্ধারে উদ্যোগ নেয়ার পরিকল্পনা আছে। এ জন্য প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করবো।
বাসা-বাড়িত

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

ধর্ষণ মামলার আসামী গ্রেফতার

১৫ দফা ইশতেহার ঘোষণা

আধুনিক বাসযোগ্য দোহার-নবাবগঞ্জ বিনির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিলেন সালমা ইসলাম

Update Time : 07:03:12 pm, Sunday, 31 December 2023

আধুনিক বাসযোগ্য দোহার-নবাবগঞ্জ গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১৫ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছেন ঢাকা-১ আসনের জাতীয় পার্টি মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী এবং সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম। পদ্মা নদীর ভাঙন রোধে বাঁধ মেরামত, বাসা-বাড়িতে গ্যাস সংযোগ, বেকার যুবকদের চাকরির ব্যবস্থা, বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, ইছামতি নদীর দুই পারে ওয়াকওয়ে নির্মাণ, পাকা রাস্তার দুই পাশে ড্রেনেজ নির্মাণ তার ইশতেহারে স্থান পেয়েছে। একইসঙ্গে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছেন তিনি।

শনিবার নবাবগঞ্জে নিজ নির্বাচনী অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ‘উন্নয়নের জন্য চাই পরিবর্তন, উন্নয়ন হবে দৃশ্যমান, লক্ষ্য কর্মসংস্থান’ স্লোগানে ইশতেহার ঘোষণা করেন তিনি। এ সময় স্থানীয় জাতীয় পার্টির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম বলেন, আমার ইশতেহারে আধুনিক বাসযোগ্য দোহার-নবাবগঞ্জ গড়ার স্বপ্ন রয়েছে। এ অঞ্চলের প্রধান সমস্যা নদী ভাঙন। তাই দোহার-নবাবগঞ্জকে উন্মত্ত পদ্মার করাল গ্রাস হতে রক্ষা করতে চলমান কাজের অসমাপ্ত অংশে বাঁধ মেরামতে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। পদ্মার পাড় জুড়ে ক্ষুদ্র শিল্পকারখানা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্যোগ নেয়া হবে। এছাড়া ৫ লাখ ভোটারের গণদাবি অনুযায়ী বাসাবাড়িতে গ্যাস সংযোগের বিষয়ে সরকারিভাবে বাস্তবায়ন ও প্রয়োজনীয় ভর্তুকির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, ইছামতি নদীকে সচল করে দুই পাড়ে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করে সাধারণ মানুষের জন্য দুষণমুক্ত প্রাকৃতিক ও মনোরম পরিবেশে জীবনযাপন নিশ্চিত করা হবে। নবাবগঞ্জকে পৌরসভায় রূপান্তরিত করে আধুনিক জীবনব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য পাকা রাস্তার দু’পাশে ড্রেনেজ ব্যবস্থা চালুসহ নাগরিক জীবনের সকল সমস্যা নিরসনের কার্যকর উদ্যোগ নেয়া হবে। একইসঙ্গে জবাবদিহিতা ও তদারকিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে দোহার-নবাবগঞ্জের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আধুনিক ও স্মার্ট মানে গড়ে তোলার পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষার উপর জোর দিয়ে শিক্ষার্থীদের কর্মমুখী করে গড়ে তোলা ও মাদ্রাসা শিক্ষার প্রসার ঘটিয়ে মানুষের নৈতিক মূল্যবোধ জাগ্রত করার সর্বোচ্চ প্রয়াস নিশ্চিত করা হবে।

স্বাস্থ্য-চিকিৎসা এবং উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থাও তার ইশতেহারে স্থান পেয়েছে। সালমা ইসলাম বলেন, দোহার-নবাবগঞ্জের ৪১৫টি গ্রামের মাটির রাস্তা পাকাকরণ, পাকা রাস্তাগুলো সংস্কার করে প্রশস্তকরণ, পর্যাপ্ত ড্রেনেজ লাইনের ব্যবস্থা এবং সড়ক সংযোগ মোড়ে আলোকবাতির ব্যবস্থা করা হবে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠির স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র সমূহ সচল করা ও স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম তদারকি করতে স্থানীয় সচেতন শিক্ষিত ও দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ দ্বারা কমিটি গঠন করে গ্রামের সাধারণ ও অসহায় মানুষের জন্য বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা হবে।

তিনি আরও বলেন, দোহারের পদ্মার মোহনা পুরুলিয়া হতে প্রবাহিত খালকে খননের মাধ্যমে দুইপাড় শাসন করে নবাবগঞ্জের ইছামতি নদীর সাথে সংযোগ ঘটিয়ে সারা বছর পানি প্রবাহ চলমান রেখে খালের পানি দ্বারা স্থানীয় কৃষকের সেচ প্রকল্প চালু রাখা হবে। নদীর পাশা গ্রাম ও কৃষিজমি জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এছাড়া মা ও শিশুর জীবন রক্ষায় দোহার-নবাবগঞ্জের ২৩ টি ইউনিয়ন ও দোহার পৌরসভায় অবহেলিত এলাকা সমূহে ‘মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার’ অসমাপ্ত কাজ বাস্তবায়নের কার্যকরী উদ্যোগ নেয়া হবে। প্রতিটা ইউনিয়নে সেলাই কেন্দ্র চালু করে নারীদের কর্মমুখী করে গড়ে তোলার জন্য সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তিগত সহায়তা অব্যাহত থাকবে।

কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে পরিকল্পনার কথা জানিয়ে ইশতেহারে সালমা ইসলাম বলেন, নতুন ভোটার, শিক্ষিত ও মেধাবী তরুণ-তরুণীদের জন্য সরকারি-বেসরকারি চাকরিতে অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি করা হবে। যোগ্যতার ভিত্তিতে তাদেরকে বিভিন্ন ব্যক্তি-কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানে নিয়োগে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হবে। বিপুল সংখ্যক হিন্দু-খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের আবাসস্থল দোহার-নবাবগঞ্জের শান্তি-সম্প্রীতির অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে শান্তি সন্নিবেশ বাস্তবায়নে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত দোহার-নবাবগঞ্জ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে সালমা ইসলাম বলেন, স্থানীয় প্রশাসন ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করে সামাজিক অবক্ষয় রোধে উঠতি বয়সি কিশোর ও যুবসমাজকে সামাজিক কাজ ও খেলাধুলায় উদ্বুদ্ধ করতে পর্যাপ্ত মাঠ ও যথাযথ পরিবেশ সৃষ্টির উদ্যোগ নেয়া হবে। নারী নির্যাতন, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ এবং নারীর কর্ম ও ক্ষমতায়নে তথা সর্বক্ষেত্রে নারী নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার সুযোগ সৃষ্টিতে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।

নবাবগঞ্জে ইছামতি নদীর নবাবগঞ্জ-যন্ত্রাইল ব্রীজ প্রশস্তকরণ ও কৈলাইলের শালিকা লঞ্চঘাটে প্রস্তাবিত ব্রীজ নির্মাণ ও শোল্লার কালিগঙ্গা নদীর উপর পাতিলঝাঁপ দত্তখন্ড প্রস্তাবিত ব্রীজের নির্মাণ বাস্তবায়নে জরুরী পদক্ষেপ নেয়া হবে। দোহার-নবাবগঞ্জে একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক তাঁতী জনগোষ্ঠির বসবাস। বিলুপ্তপ্রায় তাঁতশিল্পকে পুনরুদ্ধারে সরকারী-বেসরকারি উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে বেকার তাঁতীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনে ম্যান্ডেট পেলে অতীতের ন্যায় সর্বোচ্চ নিষ্ঠা, আন্তরিকতা, মানবিক হৃদয় নিয়ে জনগণের সেবায় সচেষ্ট থাকবো। একজন নারী হিসেবে দোহার-নবাবগঞ্জের উন্নয়নে অনেক কাজ করেছি। পাকা রাস্তাঘাট নির্মাণ, মসজিদ-মন্দির উন্নয়নে কাজ করেছি। সেইসব কাজে নারীরা আমার পাশে ছিল। ক্ষমতা নয়, মমতা দিয়ে মানুষের পাশে থাকতে চাই। তাই আমার স্লোগান হচ্ছে- ‘ক্ষমতা নয়, মমতা; লাঙ্গল আনবে সমতা।’ তিনি আরও বলেন, নির্বাচনী জয়ী হতে পারলে বিলুপ্তপ্রায় তাঁত শিল্প পুনরুদ্ধারে উদ্যোগ নেয়ার পরিকল্পনা আছে। এ জন্য প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করবো।
বাসা-বাড়িত