হাটহাজারী উপজেলার চারিয়া এলাকার চাঞ্চল্যকর মোহাম্মদ উল্লাহ হত্যা মামলার আরেক আসামি মো.আবদুর রহিম (২৮) কে বিশেষ অভিযান চালিয়ে আটক করেছে মডেল থানা পুলিশ।
বুধবার (৩০ নভেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার ৩নং মির্জাপুর ইউপিস্থ চারিয়া মুরাদপুর এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটককৃত আসামী মো.আব্দুর রহিম উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের চারিয়া ৯ নং ওয়ার্ডের ওয়াহেদ আলী তালুকদার বাড়ীর মো.বদিউল আলমের পুত্র।
থানা সূত্রে জানা যায়, গত ৯ নভেম্বর বুধবার সকাল দশটার দিকে উপজেলার ৩নং মির্জাপুর ইউপিস্থ চারিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সাব-স্টেশনের পশ্চিম পাশে হাটহাজারী -খাগড়াছড়ি মহাসড়কের পশ্চিমে বৈদ্যুতিক খুঁটি সংলগ্ন রাস্তার পাশ থেকে একই ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডস্থ ওয়াহেদ আলী তালুকদার বাড়ির মূত শফির পুত্র রাজমিস্ত্রীর হেলপার দুই সন্তানের জনক মাহমুদ উল্লাহর লাশ উদ্ধার করে হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশ। এর আগেরদিন রবিবার রাতে একই এলাকার মৃত ফোরকান আহমদের পুত্র আরমান বাড়ি থেকে ভিকটিম মাহমুদ উল্লাহকে ডেকে নিয়ে যায়। লাশ উদ্ধারের পর থেকে ভিকটিমের পরিবার এটিকে একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড দাবি করে আসছিলো। এ ঘটনায় নিহত মাহমুদ উল্লাহর পরিবার বাদী হয়ে ওইদিন ৯ নভেম্বর বুধবার আরমানকে আসামি করে হাটহাজারী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। যার নাম্বার -১২, ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড। এদিকে মামলা দায়েরের পর থেকেই এ মামলার অন্যতম আসামি আরমানকে আটক করতে অভিযানে নামে মডেল থানা পুলিশ। অবশেষে গোপন সংবাদের ভিক্তিতে ওই দিন দিবাগত রাতে উল্লেখিত স্থানে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাকে আটক করে।
হাটহাজারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো রুহুল আমিন সবুজ আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে একুশে পত্রিকা কে জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের পরদিন গত ১০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার এ মামলার অন্যতম আসামি মো. আরমান কে উপজেলার ৩নং মির্জাপুর ইউনিয়নের সরকারহাট বাজার থেকে আটক করে হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশ।