দীর্ঘ প্রায় ৯ বছর জেলে কাটিয়েছি স্বৈরাচারের রাজনৈতিক রোষানলে পড়ে। এসময়ের মধ্যে আপনাদের সাথে ঈদ করতে পারিনি। জানি আপনারা হামলা, মামলায় ভালো ছিলেন না। পরিবারকে দূরে রেখেই ঈদ করেছেন কেবল নামাজ আদায়ের মাধ্যমে। বাড়িতে গেলেই গ্রেপ্তার আতঙ্কে থাকতে হতো। এবারই প্রথম দেশবাসী স্বৈরাচারমুক্ত হয়ে মুক্ত বিহঙ্গের মতো ঈদ উদযাপন করবে। দেশবাসীকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়ে বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা লায়ন অধ্যাপক আসলাম চৌধুরী এফসিএ রবিবার (৩০) মার্চ সন্ধ্যায় এক শুভেচ্ছা বার্তায় এসব কথা বলেন।
লায়ন আসলাম চৌধুরী বলেন, ঈদের আনন্দ দরিদ্র ও। অসহায়দের সাথে ভাগাভাগি করে নিলেই এর স্বার্থকতা। আপনারা এই ঈদে পরিবার-পরিজন নিয়ে নির্বিঘ্নে ও আনন্দ সহকারে নিজ নিজ গন্তব্যে যাবেন। আত্মীয়-স্বজন, মরহুম মা-বাবার কবর জিয়ারত করবেন। পাড়া প্রতিবেশী ও গরিব পরিবারের খোঁজখবর নেবেন। তাদের ভবিষ্যৎ ভালো করার জন্য চিন্তা-ভাবনা করবেন, সহযোগিতা করবেন। আপনার সন্তানদের সঙ্গে তাদের পরিচয় করিয়ে দেবেন, এই কামনা করছি।
এসময় তিনি আরও বলেন, আমার দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ও আমার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে দেশবাসীকে জানাই ঈদ মোবারক। ঈদুল ফিতর মানেই আনন্দ, উল্লাস, হাসি আর পরিবারের কাছে যাওয়া। কর্মব্যস্ত জীবন থেকে কিছু দিনের জন্য অবসর পেয়ে পরিবারের সাথে সময় কাটানো। মায়ের হাতের সেমাই, চুটকি খেতে খেতে ভাই-বোনদের সাথে স্মৃতিচারণ করা, বড়দের কাছ থেকে স্নেহ পাওয়া। ঈদ আপনার আমার সবার জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি।
তিনি বলেন, আগামীকাল ঈদের জামায়াতে অংশ নিয়ে সবাই ঈদ উপভোগ করবেন। ঈদের জামাতে দলমত নির্বিশেষে সবাই ফ্যাসিস্ট শক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকবেন, সতর্ক থাকবেন। এজন্য আল্লাহর কাছে মোনাজাত করবেন, এই আহ্বান জানাচ্ছি। সবার জীবন স্বার্থক হোক, আনন্দময় হোক, মহান আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।
এদিকে লায়ন আসলাম চৌধুরী নয় বছর পর নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তার নিজ নির্বাচনী এলাকা সীতাকুণ্ডে এবার ঈদ উদ্যাপন করবেন। এ জন্য উচ্ছ্বসিত দলের কর্মীরাও। এতোদিন তাকে ছাড়াই দলের নেতাকর্মীরা ঈদ উদযাপন করতো। এবার প্রিয় নেতাকে কাছে পেয়ে আনন্দিত বলে জানিয়েছেন সীতাকুণ্ড উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।