চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলার হাটহাজারী ইউনিয়ন পরিষদ কে পৌরসভায় উন্নীত করা হয়েছিল ২১১২ সালে। প্রাথমিকভাবে মেয়র নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে প্রশাসকের দায়িত্ব দিয়ে একই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদেরকে কাউন্সিলর হিসেবে গণ্য করা হয়েছিল। পরবর্তীতে আরও এক ঝাঁক লোককে সহায়ক কমিটি নাম দিয়ে কাউন্সিলরদের সাথে টেগ করে দেয়া হয়েছিল। যা এক যুগ ধরে বহাল রয়েছে।
পরবর্তীতে পৌরসভা নির্বাচন হচ্ছে হবে করে সীমানা বিরোধসহ নানা অজুহাতে পৌরসভা নির্বাচন হয়নি।এভাবে চলতে চলতে আর মাত্র কয়মাস পরে মেয়র বিহীন পৌরসভার মেয়াদ এক যুগ শেষ করে দ্বিতীয় যুগে পা রাখবে। যা দেশে হয়তো বিরল ঘটনা। সীমানা বিরোধ সহ যাবতীয় বাধাদূর হলেও রহস্যজনক কারণে নির্বাচন দেয়া হয়নি বা হচ্ছে না।
গত ৭ই জানুয়ারী অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে তৎকালীন সাংসদ নির্বাচনী প্রচারনায় অনেকটা জোর দিয়ে বলেছিলেন তিনি যদি পূনরায় সাংসদ নির্বাচিত হন তাহলে ছয়মাসের মধ্যে হাটহাজারী পৌরসভার নির্বাচন সম্পন্ন করবেন। হাটহাজারী পৌরবাসীও আশায় বুকবেঁধে অপেক্ষা করছেন নির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের জন্য। কিন্তু সর্বশেষ দেখা গেল নির্বাচিত বর্তমান সাংসদ পৌরসভা নির্বাচনের কোন পদক্ষেপ না নিয়ে এতদিনকার আমলা প্রশাসকের পরিবর্তে একজন পাবলিক প্রশাসককে হাটহাজারী পৌরসভায় বসিয়ে দিলেন। তাও তিনি আবার অন্য একটি ইউনিয়নের।
এতে করে হাটহাজারী পৌরসভার অধিবাসীরা দারুণভাবে নাখোশ হয়েছে। যদিও অনেকে মুখ খুলছেননা। তথাপি গত ২০ ফেব্রুয়ারী আমলা প্রশাসকের বিদায় ও পাবলিক প্রশাসকের বরণ অনুষ্ঠানে কারো কারো বক্তব্যে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। তাছাড়া সাধারণ মানুষও এ ধরনের পদক্ষেপের সমালোচনা করছেন।
পৌরবাসীরা আশা করছেন,মাননীয় সাংসদ অতি শীঘ্রই হাটহাজারী পৌরসভার নির্বাচনের ব্যবস্থা করে নির্বাচিত মেয়র ও স্ব স্ব ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের দায়িত্ব দিয়ে হাটহাজারী পৌরবাসীর দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবী পূরণ করবেন।
উল্লেখ্য গত সংসদ নির্বাচনের জনৈক প্রার্থী গণমাধ্যম কে বলেছিলেন, তিনি নির্বাচিত হলে প্রথম পদক্ষেপে হাটহাজারী পৌরসভা নির্বাচনের উদ্যোগ নেবেন আর নির্বাচিত না হলে পৌরসভা নির্বাচন সংক্রান্ত ব্যাপারে উচ্চ আদালতে রীট করবেন।