হাটহাজারীতে পরিবেশ আইন অমান্য করে পুকুর ভরাটের অপরাধে শরিফ আজম নামের এক ব্যক্তিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। মঙ্গলবার (০৯ মে) দুপুর একটার দিকে উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের ০৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো.শাহিদুল আলমের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়।
সূত্রে জানা যায়, উপজেলা প্রশাসন গোপন সংবাদ এবং বেশ কয়েকটি অভিযোগের ভিক্তিতে জানতে পারেন উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের ০৮ নম্বর ওয়ার্ডে স্থানীয় আজম নামের এক ব্যক্তি পরিবেশ আইন অমান্য করে একটি পুকুর ভরাট করে ফেলছেন। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে সংবাদের সত্যতা পায় উপজেলা প্রশাসন। এবং রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বিএস ও আরএস উভয় রেকর্ড মতে স্থানটির শ্রেনী পুকুর।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, পুকুরটি ভরাট করা লক্ষ্যে আনুমানিক ৩ মাস আগে পরিকল্পিতভাবে সেচ যন্ত্র দিয়ে পুকুরটি পানি অপসারন করে শুকিয়ে ফেলা হয় এবং গত কয়েকদিন ধরে চলছিলো পুকুরটির ভরাট কার্যক্রম। অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের ০৮ নম্বর ওয়ার্ড দক্ষিণ কোয়াইশ এলাকার নাজিম উদ্দীনের পুত্র অভিযুক্ত শরিফ আজম কে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ অনুযায়ী ১ লাখ টাকা জরিমানা করে আগামী ০১ মাসের মধ্যে পুকুরটি পুনরায় খনন করে পূর্বের অবস্থায় নিয়ে আসার নির্দেশনা দেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.শাহিদুল আলম।
তিনি অভিযান পরিচালনায় সহযোগী শিকারপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক কে বিষয়টি তদারকি করার দায়িত্ব দেন। ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো.শাহিদুল আলম অভিযানের সত্যতা স্বীকার করে জানান, “পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পুকুর বা জলাধার খুবই গুরুত্বপূর্ণ! এছাড়া অগ্নিকান্ড ও বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় পানির উৎস হিসেবে জলাধার সংরক্ষণ জরুরি। হাটহাজারীতে আইন অমান্য করে কেউ জলাশয় ভরাট করলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে সকলের সচেতনতা জরুরি। এছাড়াও “পরিবেশ আইন লঙ্ঘন করে যেকোন কাজের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক স্যারের কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। বিশেষ করে জলাধার ভরাট,পাহাড় কাটা ও কৃষি জমির টপসয়েল কর্তন। আর উপজেলা প্রশাসন হাটহাজারী এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।