মুক্ত গণমাধ্যমের জন্য আঞ্চলিক সাংবাদিকতাকে অবাধ করা অপরিহার্য। তৃণমূল সাংবাদিকরা যদি তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাধাগ্রস্ত হয় তাহলে গণতন্ত্র বিপন্ন হবে। কথাগুলো বলছিলেন জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সহ-মুখপাত্র সালেহ উদ্দিন সিফাত। তিনি সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সীতাকুণ্ড প্রেস ক্লাবের শহীদ ওয়াসিম আকরাম মিলনায়তনে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান উত্তর নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে আঞ্চলিক গণমাধ্যম কর্মীদের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্য রাখছিলেন।
সালেহ উদ্দিন সিফাত বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদরা তৃণমূল সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করেছিল। প্রকাশ্য দিবালোকে ছাত্রলীগ আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীরা হত্যাকাণ্ড ঘটালে তা দুর্বৃত্তের হামলা বলে লিখতে হতো সাংবাদিকদের। সত্য প্রকাশে এমন নির্লজ্জ কণ্ঠরোধ পৃথিবীতে নজিরবিহীন। ৫ আগস্ট অভ্যুত্থান হয়েছে এ সকল ফ্যাসিবাদকে রুখে দেবার। যা ঘটবে, যা দেখবে তাই তুলে ধরবে তৃণমূল সাংবাদিকরা। এই হোক ফ্যাসিবাদ মুক্ত নতুন বাংলাদেশের অঙ্গীকার।
সীতাকুণ্ড প্রেস ক্লাবের আহ্বায়ক জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম বিএসসি, ছাত্র প্রতিনিধি মো. নয়ন, তানজিরুল রহমান, ফাতিন মাহমুদ নিহাল।
সদস্য সচিব সুলাইমান মেহেদী হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রেস ক্লাবের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কামরুজ্জামান, ইলিয়াছ ভূঁইয়া, ফারহান সিদ্দিক, দেলোয়ার হোসেন, সদস্য মহিউদ্দিন, আশরাফুল আলম শাহিন, প্রফেসর নাজিমুজ্জামান রাশেদ, এডভোকেট শাহাদাত হোসেন, জামশেদ হোসেন, আশরাফ, আব্দুল মামুন, হাসান তারেক, ওমর ফারুক ও ছাত্র প্রতিনিধিগণ।