চট্টগ্রাম 6:11 am, Wednesday, 2 July 2025

সীতাকুণ্ডে গুলিয়াখালি গ্রামে নারীদের মাঝে গ্রাম আদালতের প্রচারণা

৩০ এপ্রিল, বুধবার চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড উপজেলার ৪ নং মুরাদপুর ইউনিয়নের গুলিয়াখালি গ্রামে ৪০ জন নারীর মাঝে গ্রাম আদালতের প্রচারণা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পিকেএসএফ এর সহযোগিতায় ও স্থায়ীত্বশীল উন্নয়নের জন্য সংগঠন- ইপসা’র সমন্বিত কৃষি ইউনিটের প্রাণিসম্পদ খাত এর আয়োজনে “খামার দিবস”এ গ্রামীণ নারীদের মাঝে “বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (৩য় পর্যায়) প্রকল্প” এর উপজেলা সমন্বয়কারী মোহছেনা আক্তার এ প্রচারণা কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

“অল্প সময়ে স্বল্প খরচে, দ্রুত ও সঠিক বিচার পেতে, চলো যাই গ্রাম আদালতে” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে গ্রাম আদালতের সেবা সম্পর্কে এ প্রচারণা কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

স্থানীয় ছোট খাটো দেওয়ানী ও ফোজদারি বিরোধ ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে নিস্পত্তির লক্ষ্যে সরকার ২০০৬ সালে গ্রাম আদালত আইন প্রণয়ণ করেন । ২০১৩ সালে এ আইনটি সংশোধন করা হয় এবং ২০১৬ সালে গ্রাম আদালত বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।

গ্রামীণ ছোট খাট দেওয়ানী ও ফৌজদারী বিরোধ বিবাদ স্থানীয় ভাবে নিস্পত্তির অন্যতম বিচারিক কাঠামো গ্রাম আদালত। গ্রামের সাধারণ দরিদ্র জনগোষ্ঠি নামমাত্র ফি দিয়ে (দেওয়ানী মামলার ফিস ২০টাকা, ফৌজদারী মামলার ফিস ১০ টাকা) গ্রাম আদালতে মামলা দায়ের করতে পারে।

এ আদালতে প্রতিটি মামলার বিচারিক প্রক্রিয়ার শুরু হতে নিস্পত্তি পর্যন্ত প্রতিটি ধাপের জন্য গ্রাম আদালত বিধিমালা ২০১৬ অনুযায়ী ফরমস ও রেজিস্টার এর মাধ্যমে যথাযথ প্রক্রিয়ায় নথিপত্র প্রস্তুত ও সংরক্ষণ করার বিষয়টি ও নারীদের সাথে আলোচনা করা হয়।

উক্ত আয়োজনে ইপসা’র প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা সরোয়ার শাকিলের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইপসা সীতাকুণ্ড এরিয়া ম্যানেজার তোফায়েল হোসেন। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন মুরাদপুর শাখা ব্যবস্থাপক সুখময় বড়ুয়া, ইপসা কৃষি কর্মকতা মিহির মজুমদার, মো: রুবেসসহ আরো অনেকে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

সীতাকুণ্ডে গুলিয়াখালি গ্রামে নারীদের মাঝে গ্রাম আদালতের প্রচারণা

Update Time : 09:04:37 pm, Tuesday, 30 April 2024

৩০ এপ্রিল, বুধবার চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড উপজেলার ৪ নং মুরাদপুর ইউনিয়নের গুলিয়াখালি গ্রামে ৪০ জন নারীর মাঝে গ্রাম আদালতের প্রচারণা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পিকেএসএফ এর সহযোগিতায় ও স্থায়ীত্বশীল উন্নয়নের জন্য সংগঠন- ইপসা’র সমন্বিত কৃষি ইউনিটের প্রাণিসম্পদ খাত এর আয়োজনে “খামার দিবস”এ গ্রামীণ নারীদের মাঝে “বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (৩য় পর্যায়) প্রকল্প” এর উপজেলা সমন্বয়কারী মোহছেনা আক্তার এ প্রচারণা কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

“অল্প সময়ে স্বল্প খরচে, দ্রুত ও সঠিক বিচার পেতে, চলো যাই গ্রাম আদালতে” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে গ্রাম আদালতের সেবা সম্পর্কে এ প্রচারণা কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

স্থানীয় ছোট খাটো দেওয়ানী ও ফোজদারি বিরোধ ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে নিস্পত্তির লক্ষ্যে সরকার ২০০৬ সালে গ্রাম আদালত আইন প্রণয়ণ করেন । ২০১৩ সালে এ আইনটি সংশোধন করা হয় এবং ২০১৬ সালে গ্রাম আদালত বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।

গ্রামীণ ছোট খাট দেওয়ানী ও ফৌজদারী বিরোধ বিবাদ স্থানীয় ভাবে নিস্পত্তির অন্যতম বিচারিক কাঠামো গ্রাম আদালত। গ্রামের সাধারণ দরিদ্র জনগোষ্ঠি নামমাত্র ফি দিয়ে (দেওয়ানী মামলার ফিস ২০টাকা, ফৌজদারী মামলার ফিস ১০ টাকা) গ্রাম আদালতে মামলা দায়ের করতে পারে।

এ আদালতে প্রতিটি মামলার বিচারিক প্রক্রিয়ার শুরু হতে নিস্পত্তি পর্যন্ত প্রতিটি ধাপের জন্য গ্রাম আদালত বিধিমালা ২০১৬ অনুযায়ী ফরমস ও রেজিস্টার এর মাধ্যমে যথাযথ প্রক্রিয়ায় নথিপত্র প্রস্তুত ও সংরক্ষণ করার বিষয়টি ও নারীদের সাথে আলোচনা করা হয়।

উক্ত আয়োজনে ইপসা’র প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা সরোয়ার শাকিলের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইপসা সীতাকুণ্ড এরিয়া ম্যানেজার তোফায়েল হোসেন। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন মুরাদপুর শাখা ব্যবস্থাপক সুখময় বড়ুয়া, ইপসা কৃষি কর্মকতা মিহির মজুমদার, মো: রুবেসসহ আরো অনেকে।